অবৈধ মুঠোফোন শনাক্ত ও বন্ধে নেয়া ন্যাশনাল ইকুপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার-প্রকল্প বাস্তবায়নে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকে সহযোগী হিসেবে যুক্ত করেছে, মূল প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি লিমিটেড। বিতর্কিত ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতীতে জালিয়াতি করে প্রকল্পের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্পর্শকাতর প্রকল্পে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান যুক্ত হওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। যদিও কোন অনিয়ম করলে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিটিআরসি।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর অবৈধ মুঠোফোন শনাক্ত ও বন্ধে সিনেসিস আইটি লিমিটেডের সাথে চুক্তি করে বিটিআরসি। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও কারিগরি সেবা দিতে র্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস ও কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড নামের আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করেছে সিনেসিস আইটি।
র্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিসের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, তিনটা কোম্পানি মিলে একটা টিম গঠন করে একটি সফটওয়ার তৈরা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সফটওয়ারটা ডেভেলপ করা হয়েছে। বাকিটা খুব দ্রুতই শেষ করা হবে। আর হার্ডওয়ারের পার্ট যেহেতু ইন্টারন্যাশনার পার্ট; সেখান থেকে সেগুলো এলসি করে এনে এখানে ইন্সট্রল করা হবে।
৩০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে র্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিসকে সম্পৃক্ত করায় প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৮ সালে র্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেডের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ পায় সময় সংবাদ। প্রকল্পর শর্ত ভঙ্গ করে একই প্রশিক্ষণার্থী ভিন্ন ভিন্ন ব্যাচে দেখানো, এমনকি প্রশিক্ষণার্থীদের আয়ের প্রকৃত তথ্যও গোপন করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ মেলে। ফলে গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিতর্কিত এই প্রতিষ্ঠান কতটা সক্ষম হবে তা নিয়ে সংশয়ে প্রযুক্তিবিদরা।
প্রযুক্তিবিদ সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, এখানে অনেক ডাটার বিষয়ে রয়েছে; সেগুলো চুরি হয়ে বা ফাঁস হয়ে গেলে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, অনিয়ম করে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
অবৈধ পথে দেশে মুঠোফোন আসায় বছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।