করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিতের সুপারিশ করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তবে ভার্চুয়ালি মেলার আয়োজনসহ বিকল্প উপায় নিয়েও ভাবা হচ্ছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিবিসি নিউজকে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। তিনি বলেন, একুশের চেতনায় যে গ্রন্থমেলা আয়োজন করা হয় করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে তা প্রাথমিকভাবে স্থগিত করা হলেও পরে যে কোনও সময় আয়োজন করা হতে পারে। তবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় প্রতি বছর যে গ্রন্থমেলা আয়োজন করা হয় তা বিবেচনায় নিয়ে বিকল্পভাবে ভার্চুয়ালি মেলার আয়োজন করা যায় কিনা তাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান মহাপরিচালক।
হাবিবুল্লাহ সিরাজী আরো বলেন, একাডেমির সভায় প্রাথমিকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ভার্চুয়ালি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ বলেন, আপাতত বই মেলা বন্ধ থাকবে তবে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে, পরে মেলা হবে আর ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ভার্চুয়াল বই মেলা হবে।
তবে, ভার্চুয়ালি বইমেলা অনুষ্ঠিত হলেও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসলে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল বসিয়ে যেকোনো মাসে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ হতে পারে বলে জানা গেছে।
১৯৭২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন দেশে মুক্তধারার কর্ণধার চিত্তরঞ্জন সাহার উদ্যোগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে বইমেলার যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরে যুক্ত হন অন্য প্রকাশকরাও। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি এতে যুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে শুরু হয় আজকের ‘অমর একুশে বইমেলা’। প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে মাস জুড়ে চলে এ মেলা।