রাজশাহীতে এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে বাড়ির ছাদে অস্ত্র রেখে পুলিশে খবর দিয়ে ফেঁসে গেছেন নিজেরাই। শনিবার রাতে নগরের বোয়ালিয়া পাড়ার এক বাড়ির ছাদের কার্নিশে রাখা বিদেশি কাটা বন্দুক উদ্ধার করার পর ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন, নগরের বোয়ালিয়া থানার রাণীবাজার অলোকার মোড় এলাকার প্রতাপ সরকার, সাহেববাজার এলাকার মাস্টারপাড়ার শহিদুল হাসান রনি। এদের মধ্যে প্রতাপ ওই বাড়িতে অস্ত্র থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত বোয়ালিয়া পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে মাসুম পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন বলে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন।
রোববার মহানগর পুলিশের মুখপত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার রাত ১০টার দিকে বোয়ালিয়া পাড়া এলাকার গোলাম আজম হোসেন বাবুর বাড়ির ছাদের কার্নিশের উপর থেকে বাজারের ব্যাগে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অস্ত্রটি দৈর্ঘ্যে ২১ ইঞ্চি, ব্যারেল ১৭ ইঞ্চি, খয়েরি রংয়ের বাট ১৯ ইঞ্চি, ১২ বোর কার্তুজের ম্যাগাজিন সংযুক্ত, বোল্ড অ্যাকশন, ফায়ারিং পিন ও ট্রিগার গার্ডযুক্ত।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে পুলিশকে খবর দেয় প্রতাপ সরকার। তার দেয়া তথ্যে অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও ওই বাড়ির ছাদে বা আশপাশে অস্ত্র ব্যবসায়ী অথবা ক্রেতার উপস্থিতির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
বিষয়টি সন্দেহ হলে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ অস্ত্রের সন্ধানদাতা সোর্স প্রতাপকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় সেখান থেকে রবিনকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক মাসুমের পরিকল্পনায় তারা ওই বাড়ির কার্নিসে অস্ত্রটি রাখে বলে স্বীকার করেন।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রুহুল জানান, গোলাম আজম হোসেন বাবুর সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মাসুমের বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে বাবুকে ফাঁসাতে মাসুম প্রতাপ ও রনিকে দিয়ে বাবুকে ফাঁসানোর এ পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রনির কাছে থাকা অস্ত্রটি মাসুমের বাড়িতে নিয়ে যান প্রতাপ। সুযোগ বুঝে মাসুম বাবুর বাড়ির ছাদের কার্নিশে অস্ত্রটি রেখে আসে।