২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হন তিনি। ৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ আগস্ট মারা যান আইভি রহমান।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়, যে হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভি রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়। বিশ্বে গণতন্ত্র চর্চাকারী যে কোনও রাষ্ট্রে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এ ধরনের বর্বর হামলার নজির বিরল। তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রধানসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
আইভি রহমান ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে আইভি রহমান মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৯৮০ সালে তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। দীর্ঘদিন তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন আইভি রহমান।
মুক্তিযুদ্ধ এবং সমাজসেবায় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখার জন্য আইভি রহমান-কে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রদান করা হয়৷