আদালতের ভেতরে-বাইরে সমান তালে চলে মজনুর হিংস্রতা ও তাণ্ডব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনু। রেগে গেলে আচরণ হয় হিংস্র পশুর মতো। এমন কথা জানালেন, এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আফরোজা ফারহানা আহমেদ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছাম্মৎ কামরুনাহারের আদালতে গত তিনটি ধার্য তারিখে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এমন আচরণ করে মজনু। আগামী মাসেই মামলার রায় হওয়ার আশা রাষ্ট্রপক্ষের।
৫ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় দেশব্যাপী ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনার মাত্র তিন দিন পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার হয় ধর্ষণে অভিযুক্ত মজনু। গত ২৬শে আগস্ট ভার্চুয়াল আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিচার।
আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে বেরিয়ে আসতে থাকে মজনুর আসল চেহারা। আদালতের ভেতরে-বাইরে সমান তালে চলে মজনুর হিংস্রতা ও তাণ্ডব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ বলেন, বাহির থেকে ওকে খুব চুপচাপ মনে হলেও এটা আসলে তার আসল রুপ না।স্বাক্ষী এবং জেরা চলাকালীন সময়ে মজনুর যে আচরণ তা দেখে মনে হয় সে খুবই হিংস্র। তার আচরণ একবারে পশুর মত। যেহেতু আদালতের ভেতরে ক্যামেরা প্রবেশের অনুমতি নেই, তাই অনেকেই তার এই হিংস্র আচরণ দেখতে পারছে না।
মামলাটি প্রমাণের জন্য ভিকটিমের সাক্ষ্যই যথেষ্ট বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই কৌসুলি। তিনি বলেন, এই মামলায় বাদী এবং ভিক্টিমের স্বাক্ষীতে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে সেই অভিযুক্ত।
আগামী মাসেই এ মামলার রায় হতে পারে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।
তিন কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষের ১৬ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫ জন। সাক্ষ্যগ্রহণের পর আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের দিন ঠিক করবেন বিচারক।