আসামিকে হত্যার পর করা হয়েছে বজ্রপাতে অপমৃত্যু মামলা। আর অভিযানে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হলেও দেখানো হয়, ১০০ গ্রাম। ঘটনার ৭ মাস পর রাজশাহীর গোদাগাড়িতে কর্মরত পুলিশের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, চোরাকারবারিকে হত্যা ও মাদক আত্নসাতের। এরপর হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন। তদন্তে আটক করা এক আসামির স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
চলতি বছরের ২২ মার্চ। রাজশাহীর গোদাগাড়ির পদ্মার চর থেকে উদ্ধার করা হয় রফিকুল ইসলামের মরদেহ। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয় বজ্রপাতে অপমৃত্যুর মামলা।
ঘটনার তিন মাস পর নিহতের পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামি করা হয়, রফিকুলের সহযোগী মাদক কারবারি শরিফুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিনকে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন। এরপর তদন্তে আটক হওয়া পুলিশের সোর্স ইসহাকের আদালতে জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, বজ্রপাতে অপমৃত্যু মামলাটি মিথ্যা ছিল। অভিযানে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হলেও দেখানো হয়, ১০০ গ্রাম। আর পিটিয়ে হত্যা করা হয়, নিহত রফিকুল ইসলামকে। জবানবন্দিতে উঠে এসেছে গোদাগাড়ি থানা পুলিশের ২ এসআই, ১ এএসআই ও ২ কনস্টেবলের নাম। । এ ঘটনায় বিস্মিত স্থানীয়রা। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
পিবিআই কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলছেন, জবানবন্দির নথি পেলে মামলায় আরও অগ্রগতি হবে।
হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ পুলিশ সদস্যের ৪ জন বদলি হয়ে গেলেও এসআই মিজান গোদাগাড়ি থানায় এখনও কর্মরত রয়েছেন।