দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারি বাসভবনের সামনে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। ঘোড়াঘাট উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোজিনা পারভিন জানান, ইউএনও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে একজন পিসি ও অপর তিনজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা চত্তর বাসভবনে ইউএনও ওয়াহিদাকে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে গুরুতর জখম করে।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল আলম জানান, আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। প্রথমে তার বাবাকে আহত করে পাশের ঘরে বাথরুমে আটকে রাখে। পরে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি তাকেও পিটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে পরে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এ কর্মকর্তা। জ্ঞান ফেরার পর তিনি কথা বলেছেন তার স্বামীর সঙ্গে। তার শরীরের ডান পাশ এখনো অবশ। এটি ঠিক হতে সময় লাগতে পারে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন। পরে হিলির সীমান্তবর্তী কালিগঞ্জ এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত যুবলীগ কর্মী আসাদুল হককে আটক করা হয়।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো বেশ কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। কয়েকঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃত আসাদুল হক, নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার ওয়াহিদা খানমের উপর হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদেরকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।