আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকা এবার ভাসছে জোয়ারের পানিতে। চারদিনেও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপকূলে সুদৃষ্টি মেলেনি প্রশাসনের। ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণেও নেয়া হয়নি উদ্যোগ। ভোলায় বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু হলেও টেকসই নিয়ে শঙ্কা স্থানীয়দের। বরগুনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধের ২৮টি পয়েন্ট। তলিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
একের পর এক বাঁধ ভাঙছেই। জোয়ারের পানি ঢুকছে চারদিন ধরে। তলিয়ে গেছে আশাশুনি, শ্যামনগর ও তালা, প্রতাপনগরসহ সাতক্ষীরা সদরের নিম্মাঞ্চল।
কয়েকদিনের জোয়ারের তোড়ে ক্ষতি হয়েছে আম্পানের চেয়েও বেশি। ভেসে গেছে মাছের ঘের, ডুবেছে ফসলের মাঠ, বন্ধ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ। এলাকাগুলোতে টেকসই বাঁধ তৈরির দাবিও কানে তোলেননি কর্তারা।
বাগেরহাটে ভেসে গেছে কয়েক হাজার মাছের ঘের। আমপানের রেশ কাটতেই কাটতেই ফের জোয়ারের পানিতে দিশেহারা খামারিরা।
উপকূলীয় অঞ্চলের সবখানেই ক্ষতির মুখে পড়ছে বাঁধ। ভাঙছে নতুন নতুন পয়েন্টে। সংস্কার না হওয়ায় বাড়ছে প্লাবিত এলাকা।
বরগুনায় বেড়িবাঁধের ২৮টি পয়েন্ট চূড়ান্ত ঝুঁকিতে। এরই মধ্যে পাথরঘাটায় ফসল, ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
এছাড়া টানা বৃষ্টির কারণে চাঁদপুরের বেশকিছু স্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি ঢুকে পড়েছে মসজিদ, বসতবাড়ি এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।