রাজধনীর উত্তরার তুরাগ এলাকার নিশাত নগরের বাসার সামনে থেকে তুলে নেওয়ার এক মাসেও হদিস মেলেনি কুষ্টিয়ার যুবক বাকী বিল্লাহর। পরিবারের দাবি, গত ১২ নভেম্বর তাকে বাসার নিচ থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক।
বাকী বিল্লাহ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ষোলদাগ দক্ষিণপাড়া এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বাকী বিল্লাহর বাবা ইয়াকুব আলী। সেখানে বাকী বিল্লাহর স্ত্রী কুলসুম আক্তারসহ তিন শিশুসন্তান উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াকুব আলী বলেন, তার ছেলে বাকী বিল্লাহ ২০০১ সালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিত্র-৫ পান। এরপর নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিত্র-৫ পেয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি হন তিনি। ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালাতে না পারায় একপর্যায়ে লেখাপড়া ছেড়ে ঢাকায় অনলাইনে কাজ শুরু করেন বাকী। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
স্ত্রী কুলসুম আক্তার জানান, ছেলেকে মাদ্রাসায় রেখে আসার জন্য ১২ নভেম্বর সন্ধ্যার আগে তুরাগ থানার নিশাতনগর এলাকার বাসা থেকে বের হন বাকী। এ সময় বাসার নিচে অপরিচিত দুই ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে তাকে জোর করে সিলভার কালারের একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। গাড়ির মধ্যে আরও ৮ থেকে ১০ জন ছিল। পরদিন তুরাগ থানায় জিডি করতে গেলে তা নেওয়া হয়নি। ৫ দিন ঘোরানোর পর জিডি নেয় থানা।
তিনি বলেন, এক মাস ধরে প্রতীক্ষায় আছি কখন ও ফিরে আসবে। আমার তিনটি ছোট ছোট বাচ্চা। ওদের নিয়ে আমি কোথায় যাব? তাই সরকারের কাছে আমার চাওয়া, দ্রুত আমার স্বামীকে খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।