করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজে। প্রথম দফা প্রাদুর্ভাব শুরুর সময় জনবল কমে যাওয়ায় এবার আগে থেকেই এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় কাজ করা কর্মীদের সুরক্ষায় নিশ্চিত করা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ করা ৫ হাজারের বেশি কর্মীর মধ্যে নিয়মিত কাজ করে থাকেন ৪ হাজার ২০০ দেশীয় শ্রমিক। বিভিন্ন পর্যায়ে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের কর্মীরা কাজ করলেও সবচেয়ে বেশি বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন চীনের। দেশটির ৯৮০ জন নাগরিক নিয়মিত কাজ করেন এ প্রকল্পে।
তবে করোনার প্রথম দফায় সংক্রমণের সময় প্রায় ৪০০ চীনা নাগরিক নিজ দেশে নববর্ষ উদযাপন করতে গিয়ে আটকে যান। বিমান যোগাযোগ বন্ধ, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক, সবকিছু মিলে প্রভাব পড়ে সেতুর কাজে। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয় দেশীয় ২ হাজার ২০০ শ্রমিকের কাজ ছেড়ে যাওয়া। সবকিছু মিলে ধীর হয়ে আসে প্রকল্পের কাজ।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসার পর বর্তমানে প্রকল্পের কাজে কর্মরত আছেন ৩ হাজার দেশীয় শ্রমিকের পাশাপাশি ৭০০ চীনা নাগরিক। দেশে চলমান দ্বিতীয় ঢেউ থেকে রক্ষায় কর্মরত সবার জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা আবাসিক সুবিধা। কোনোভাবে যাতে প্রকল্প এলাকায় ভাইরাস ছড়াতে না পারে সে জন্য নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
সড়ক ও পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, পদ্মায় সেতুতে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশে আসার পর কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের দেশীয় যেসব শ্রমিক পদ্মা প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছেন তাদের কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে।
প্রকল্প এলাকায় কর্মরতদের জন্য সার্ভিস এরিয়ায় ২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ৪ জন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের কাজে যোগ দেওয়ার আগে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার পর কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা প্রকল্প এলাকায় কাজ করছেন, তাদের জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প এলাকার বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। পুরো এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়।