করোনার চিকিৎসায় নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে আবার তীব্র হচ্ছে আইসিইউ সংকট। বেড়েছে কেন্দ্রগুলোতে করোনা পরীক্ষার চাপও।
এদিকে, অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আরো জনবলের চাহিদা পত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে পাঠিয়েছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হসপিটালের দৃশ্য।পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গা ঘেষে নমুনা দিতে ভীড় টিকেট কাউন্টারে। সকাল ৯টা থেকে নমুনা গ্রহণ শুরু হলেও কয়েক ঘন্টা আগে থেকেই লাইন। অপেক্ষায় মানুষ। দু’একটি অভিযোগ থাকলেও অনেকেই বলছেন নির্বিঘ্নে দেয়া যাচ্ছে নমুনা।
করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে তুলনামূলক যথেষ্ট ভালো চিত্র দেখা গেলো কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করে নমুনা দেয়ার ব্যবস্থা করায় শারীরিক দূরত্ব রেখে নিরাপদেই নমুনা দেয়া যাচ্ছে।
তবে ২৫০ জনের করোনা চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এরই মধ্যে রোগী ভর্তি ৪১৩। যে ১০টি আইসিইউ বেড ছিলো; তাও পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পরিসর বাড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শরনাপন্ন হয়েছে হাসপাতালটি।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান জানান,’কোন কোন রুগীর অবস্থা এত খারাপ যে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারছি না। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী হয়ে গেলে, স্বাভাবিক ভাবেই সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। আমাদের এক বছরের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমরা সামাল দিয়ে যাচ্ছি। তবে খুব বেশি দিন এভাবে সামাল দেয়া যাবে না।’
নতুন আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি দ্রুত হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান আরও জানান,’দুটো ডোজ নেবার চার বা পাঁচ সপ্তাহ পর এন্টিবডি তৈরী হতে পারে। একশ জনের শরীরে কিন্তু এন্টিবডি তৈরী হবে না। সত্তর বা আশি জনের শরীরে এন্টিবডি তৈরী হতে পারে । তারপরও বিশজন করোনা পজিটিভ হতে পারে।’
করোনা সংক্রমণের হার ও রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতির বিষয় বিবেচনায় আগে থেকেই অতিরিক্ত জনবলের পাশাপাশি পর্যাপ্ত আইসিইউ ব্যবস্থা নিশ্চিতের পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।