স্বামী রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্নি। চারদিন ধরে রয়েছেন কনডেম সেলে। এরমধ্যে একবার টেলিফোনে বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কি কথা হয়ে তার সঙ্গে?
রোববার (৪ অক্টোবর) জানতে চাইলে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানান, হ্যালো বলার পর আর কিছু বলতে পারেননি। সে সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে যায় মিন্নি। তার বাবা জানান, কনডেম সেলে খুব কষ্টে আছে সে।
মিন্নিকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি তার। সে কারণেই তাকে স্বাক্ষী থেকে আসামি করা হয়েছে।
মিন্নির পরিকল্পনায় রিফাতকে হত্যা করা হয় রায়ের এমন পর্যবেক্ষনের বিষয়ে জানতে চাইলে তার বাবা কিশোর বলেন, তিনি পুরো রায় পড়েননি। তবে তারা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবে। উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন বলেও প্রত্যাশা তার।
রোববার রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করেন মিন্নির বাবা মোজাম্মের হোসেন কিশোর। আপিল করার জন্য মিন্নির স্বাক্ষরসহ ওকালতনামাও আইনজীবীর কাছে জমা দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।