দেশের উত্তরাঞ্চলে ভোরে প্রচুর কুয়াশা ঝরলেও এখনও শীতের আগমনী বার্তা নেই প্রকৃতিতে। অন্যান্য বছর এই সময় শীতের বিস্তার শুরু হলেও এবার অনুভূত হচ্ছে তীব্র গরম। প্রচুর বৃষ্টি ও বন্যা হওয়ায় এ বছর শীত জেঁকে বসার শঙ্কা কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঘন কুয়াশায় ঠিকই ঢাকা পড়ছে সূর্য ওঠা ভোর। শেষ হেমন্তের বাড়ন্ত ধানের ছড়ায়, ঘাসের ডগায়, বাঁশের পাতায় কিংবা বুনো ফুলের পাপড়ি ছুঁয়ে মুক্ত দানার মতো ঝুলছে জমাট বাঁধা শিশির বিন্দু। বেশ খানিকটা বেলা গড়িয়ে সূর্যের আলো এসে পড়লে সেই বিন্দু বিন্দু জল ঝিকিমিকি আলো ছড়িয়ে সৃষ্টি করছে এক ভিন্ন ব্যঞ্জনা। এমন দিনে আবিরের মতো করে হিম হিম অনুভূতি গায়ে মাখতে ভেজা ভেজা ধানক্ষেতে আলের ওপর নগ্ন পায়ে শিশুরা।
কিন্তু এবার শীত মোটেও অনুভূত হচ্ছে না অন্যান্য বারের মতো।
স্থানীয়রা বলেন, কুয়াশা পড়লেও শীত অনুভূত হচ্ছে না। গত বছরের একই সময়ে শীত পড়লেও এ বছর প্রচণ্ড গরম।
অতিবর্ষণ ও বন্যার কারণে এখনও খাল-বিল-জলাশয় পানিতে ভরা। তাই বেশি জলীয়বাষ্পে কুয়াশা বেশি হচ্ছে। একই কারণে এবারের শীতের তীব্রতা কম হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খালে-বিলে পানি থাকায় জলীয় বাষ্প হচ্ছে। এ কারণে ভোরের দিকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এ বছর বৃষ্টি হওয়ায় শীত কিছুটা কম হতে পারে।
উনো বর্ষায় দুনো শীত, অর্থাৎ অল্প বৃষ্টি হলে সে বছর প্রচুর শীত পড়ে- এমন একটি প্রবাদ চালু থাকলেও, বেশি বৃষ্টিতে কম শীত- এমন কোনও প্রবাদের প্রচলন নেই।