কেরানীগঞ্জে আলমগীর (২৩) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার ভোরে কালিন্দী ইউনিয়নের ভাগনা মাদ্রাসা গলি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আলমগীর অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি র্যাবের সোর্স হিসেবেও কাজ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বাবার নাম মোস্তফা বেপারি। গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদীতে। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উত্তরপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই সাদ্দাম মোল্লা জানান, রাস্তার ওপর পড়েছিল আলমগীরের মরদেহ। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। শরীরে একটি মাত্র আঘাতই রয়েছে।
তিনি আরও জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে আলমগীর বাসা থেকে বের হয়। এর পর রাত ২টার দিকে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখম নিয়ে আলমগীর দৌড়ে মাদ্রাসা গলির রাস্তায় পড়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
নিহতের ছোট ভাই জুয়েল জানান, আলমগীর বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকলেও তার স্ত্রী ও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তারা বরিশালে থাকেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, নিহত আলমগীর অটোরিকশাচালক ছিলেন। পাশাপাশি র্যাবের সোর্স হিসেবেও কাজ করতেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।