জামালপুরের বকশীগঞ্জ-মেরুরচর সড়কের আউলপাড়ায় এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজে উঠতে ব্যবহার করতে হয় কাঠের সিঁড়ি। সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষের কোনো কাজেই আসছে না ব্রিজটি। দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ সড়ক না পেয়ে ১০টি গ্রামের মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বকশীগঞ্জ-মেরুরচর সড়কের কয়েকশ পরিবহন শ্রমিক।
জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মেরুরচর গ্রাম হয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ রয়েছে পাকা সড়ক। ২০১৭ সালের বন্যায় ওই সড়কের আউলপাড়ার ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরের বছরের বন্যায় ব্রিজটি পুরোপুরো ভেঙে যায়। এতে বকশীগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে আশপাশের ১০টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে এলজিইডির অর্থায়নে ওই স্থানে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২২ মিটার দীর্ঘ ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যা শেষ হয় ২০২০ সালে মাঝামাঝি। ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও বাকি রয়ে গেছে দুই পাশের সংযোগ সড়ক। সড়ক না থাকায় বর্তমানে ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছে না মেরুরচর, ফকিরপাড়া, কলকিহারা, বাগাডুবা, কাছিমার চরসহ ১০টি গ্রামের মানুষ।
উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, র্নিমাণ কাজ শেষ হয়েছে ঠিকই কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি বুঝিয়ে দেয়নি। এ কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। কাজ বুঝিয়ে দিলেই দ্রুত সংযোগ সড়ক র্নিমাণ করা হবে।
বকশীগঞ্জের ইউএনও আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার বলেন, সমস্যাটি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। আশা করি, স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্রিজটি জনগণের ব্যবহারের উপযোগী করতে পারবো।