র্সবত্রই যখন গ্যাসের তীব্র সংকট, তখনো থেমে নেই এসব সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য দিয়ে যাচ্ছে অবৈধ সংযোগ। হাজার হাজার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া এ সংযোগে গ্যাস আসুক বা না আসুক মাস শেষে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি-কোটি টাকা। রাজধানীর যেসব এলাকায় নতুন আবাসন গড়ে উঠেছে, সেখানেই রয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা প্রায় সব বস্তিতেই চোরাই লাইনে টানা গ্যাসে চুলা।বনানী থানা এলাকায় অবস্থিত কড়াইল বস্তি ও সাততলা বস্তি এগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম ভাঙ্গিয়ে আতর আলী ও শামিম নামে দুই ব্যক্তি প্রতি মাসে তুলে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
স্থানীয় মাস্তান বাহিনী, প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, ও তিতাসের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারের নামে মাসের নির্ধারিত তারিখে পৌঁছে যাচ্ছে। তারা একজোট হয়েই সচল রেখেছে চোরাই গ্যাস-বাণিজ্যের চাকা। ডোবা-নালাসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক পাইপসহ নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করে।
এসব অবৈধ সংযোগে গ্যাস চুরির মাধ্যমে সরকার শুধু বিপুল পরিমাণ রাজস্বই হারাচ্ছে না, গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থাও ভয়ানক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনায় মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের, তিতাসের পক্ষ থেকে দিয়েও বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। তার পরও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। কালেভদ্রে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান চললেও আভিযানিক দল এলাকা ছাড়তেই সিন্ডিকেটের সদস্যরা পুন:সংযোগ দিচ্ছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বনানী-গুলশান থানা এলাকায় অবস্থিত কড়াইল বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তিতাসের মূল পাইপলাইন থেকে টানা প্রায় ৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাসের ভিজিল্যান্স টিম। কিন্তু আভিযানিক দল মাঠ ত্যাগের ৪৮ ঘণ্টা না পারতেই হাজার হাজার বাড়িতে আবার চোরাই লাইন টেনে নিয়েছে সংঘবদ্ধ চক্র এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।
বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লুকোচুরি করে ছয় ইঞ্চি পাইপ থেকে সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়, এটি তিতাসের লোকজনই দিয়েছিল। টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় অভিযান চালিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তারা। স্থানীয় সূত্র, এক বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কড়াইল বস্তির বেলতলা, এরশাদনগর, ভাঙাওয়াল, জামাইবাজার, বউবাজার,
গোডাউন বস্তি, মোশারফ ও কুমিল্লাপট্টি এলাকায় অবৈধ গ্যাস-বাণিজ্য সিন্ডিকেটের হোতা টোকাই মোমিন টুন্ডা মোমিন, হুমায়ুন কবির দুলাল, ভাংগারি মঞ্জিল হক, টার্জেন, মিজান, আনোয়ার, রফিক ওরফে গ্যাস রফিক, খাবির হাওলাদার, গ্যাস শফিক, ইউসুফ, টেরা বারেক, মনির, গোডাউন বস্তি ডেকোরেটর সামসু, আবু সাইদ বাবু, ভাই শহিদুল, কালা জসিম।
বস্তিবাসীর কাছ থেকে অফেরতযোগ্য এককালীন ২ থেকে ১০ হাজার টাকা ছাড়াও মাসে প্রতিটি ডাবল বার্নার চুলা থেকে ১২০০ টাকা আর সিঙ্গেল বার্নার থেকে ৬০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এসব এলাকায় ২৯টি হোটেল থেকে মাথাপিছু ৬০০ আর শতর্ধিক চায়ের দোকান থেকে দৈনিক মাথাপিছু হারে তোলা হচ্ছে ৭০টাকা।
বনানীর সাততলা বস্তির আইপিএস, পোড়াবস্তি, লালমাটি এলাকার গ্যাস-বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক হলেন আতর আলী, গ্যাস মানিক, দুলাল, হাসানউজ্জামান, মনিরের বউ, জাকির, দাদা খালেক, জামান, করিম, ল্যাংড়ানিজস্ব সূত্র, স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কড়াইল বস্তির বেলতলা, এরশাদনগর, ভাঙাওয়াল, জামাইবাজার, বউবাজার, গোডাউন বস্তি,
মোশারফ ও কুমিল্লাপট্টি এলাকায় অবৈধ গ্যাস-বাণিজ্য সিন্ডিকেটের হোতা আব্দুস সাত্তার, হুমায়ুন কবির, কাঠ দুলাল, মঞ্জিল হক, টার্জেন, টোকাই মমিন, মিজান, আনোয়ার, রফিক ওরফে গ্যাস রফিক, খাবির হাওলাদার, গ্যাস শফিক, ইউসুফ, টেরা বারেক, বিল্লাল, শাজাহান, মনির, সামসু, আবু সাইদ বাবু, কামাল, মশা বাজারের শহিদুল, কালা জসিম।
অবৈধভাবে এসব এলাকায় জ্বলছে ৬ সহস্রাধিক গ্যাসের চুলা বেশিরভাগই ডাবল বার্নার। বস্তিবাসীর কাছ থেকে অফেরতযোগ্য এককালীন ২ থেকে ১০ হাজার টাকা ছাড়াও মাসে প্রতিটি ডাবল বার্নার চুলা থেকে ১২০০ টাকা আর সিঙ্গেল বার্নার থেকে ৬০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এসব এলাকায় ২৯টি হোটেল থেকে মাথাপিছু ৬০০ আর সহস্রাধিক চায়ের দোকান থেকে দৈনিক মাথাপিছু হারে তোলা হচ্ছে ৫০ টাকা। বনানীর সাততলা বস্তির আইপিএস, পোড়াবস্তি, লালমাটি এলাকার গ্যাস-বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক হলেন আতর আলী, গ্যাস মানিক, দুলাল,
হাসানউজ্জামান, মনিরের বউ, বিয়ার ইউসুফ, জাকির, দাদা খালেক, জামান, করিম, ল্যাংড়া জলিল, ঢাকাইয়া শামীম এখানকার ৩ সহস্রাধিক গ্যাসের চুলার মধ্যে প্রতি ডাবল বার্নার থেকে ১ হাজার টাকা আর সিঙ্গেল বার্নার থেকে ৬০০। এব্যাপারে তিতাসের ডিজি কাছে দেখা করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।