গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে যৌথভাবে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের তদন্ত দল। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি র্যাবের হাতে গ্রেফতার মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এমন অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ মোট সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রদীপ কুমার বসু জিজ্ঞাসাবাদে গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে তার সখ্যতার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। পরে তার নাম-ঠিকানা, আত্মীয়-স্বজনের নাম-ঠিকানা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেওয়া হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে তার সম্পদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রদীপ কুমার বসুকেও আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে নিজের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদকারী দলের একজন সদস্য জানান, প্রদীপ কুমার বসুসহ গোল্ডেন মনিরের সংশ্লিষ্ট অন্য যাদের ডাকা হয়েছিল, তাদের কাছেও সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুদকের পক্ষ থেকেও তাদের সম্পদের খোঁজ-খবর নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
দুদক সূত্র জানায়, গোল্ডেন মনিরের বিশেষ সখ্যতা করে যৌথভাবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হওয়ার অভিযোগে গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু ছাড়াও রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, রাজউকের সিবিএ নেতা আব্দুল জলিল আকন্দ, নিম্নমান সহকারী মো. ওবায়দুল্লাহ ও উচ্চমান সহকারী আব্দুল মালেক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ওরফে সোনা শফিক ও বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর এম এ কাউয়ুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। এদের মধ্যে আব্দুল কাইয়ুম দীর্ঘ দিন ধরেই বিদেশে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ওরফে সোনা শফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।