গাজীপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার জেরে স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার চার দিন পর প্রধান আসামি ইমরান মণ্ডলসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে বলেও জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দু’জনকে প্রথমে ধরা হয়। পরে মামলার প্রধান আসামি ইমরান মণ্ডলকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ সদস্যরা।
স্কুল শিক্ষক রাসেলের চাচাতো ভাই সরাফত আলী জানান, গত রোববার রাত ৯টার দিকে আবু বক্কর মণ্ডলের ছেলে ইমরান মণ্ডল রাসেলকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর গভীর রাতেও রাসেল ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সোমবার সকালে বিলাই ঘাটা এলাকায় লবলং খালের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকার খবর জানতে পারেন তারা। পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে মরদেহটি রাসেলের বলে শনাক্ত করেন।
শ্রীপুরের সিংদিঘী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাসেলের এক আত্মীয় জানান, ইমরান মাদকের ব্যবসা করতো। এসব কাজে বাধা দেয়ার কারণে রাসেল মিয়ার সাথে তার মনোমালিন্য ছিল। কিছুদিন আগে ইমরান মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল বলে জানান তিনি। তার আটকের বিষয়ে রাসেল মিয়ার সহযোগিতা ছিল এমন সন্দেহে সেসময় তাকে হুমকি দিয়েছিল ইমরান। এরপর গত রোববার সকালে রাসেলের মরদেহ মিলল খালের পাড়ে।
পরেরদিন শিক্ষক রাসেলের বাবা সুজন আলী বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। শুরু হয় পুলিশের তৎপরতা।
নিহত রাসেল স্থানীয় বারতোপা শিশু কানন একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন।