সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পাওয়া একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শঙ্কামুক্ত। সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী এখন ভালো আছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের লামাকাজী এলাকা থেকে ছেড়ে আসা ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের মিনিবাসে দিরাই যাচ্ছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। পথে সুজানগর এলাকায় বাসের চালক ও হেলপার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে মেয়েটি বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন।
বর্তমানে তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে মানববন্ধন করে নারী নির্যাতন ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটি এবং মহিলা পরিষদ। এতে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়ে অভিযুক্ত বাসচালক ও হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মেয়ের প্রতি অমানবিক আচরণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারটির সদস্যরা, হতবাক এলাকাবাসীও। তারা বলছেন, এমন ঘটনার বিচার না হলে পরিবহনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন নারীরা।
স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, মেয়েটাকে ফেলে দেওয়া অবস্থায় পাইছি। তখন তার জ্ঞান ছিল না। তড়িঘড়ি করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। পুলিশ বলছে, জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। পরিবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছে। আমরা আশাবাদী, অল্প সময়ের মধ্যেই আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আনতে পারব।
এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল চিকিৎসাধীন কলেজছাত্রীর, রোববার সকালে সিটিস্ক্যান ও এক্সরে করা হয়েছে। তার অবস্থা ভালো বলে জানান চিকিৎসক।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, মেয়ের তেমন কোনো মারাত্মক অসুস্থতা নেই। পড়ে গিয়ে তার মাথায় একটু আঘাত পেয়েছে। মাথার পেছনের দিকে একটু ফোলা আছে। সিটিস্ক্যান ও এক্সরে করা হয়েছে মেয়েটির।