সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক রাজিব চক্রবর্তী ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাবের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ঘটনা তদন্তের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ইফতেখার উদ্দিন শামিম স্বাক্ষরিত পত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্রী ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করে জানায়, ছেলেবেলার সেই স্মৃতিগুলোকে নতুনভাবে উপভোগ করতে আমি সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যাই। এ সময় সহকারী শিক্ষক রাজিব চক্রবর্তী আমাকে ডেকে পাঠান। তার নিকট যাওয়ার পর সে নানা কথা বলার ছলে প্রেমের প্রস্তাব দেন এবং কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলেন।
ছোটবেলায় যাকে আমি বাবার মতো দেখতাম তার মুখ থেকে এমন কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব পাওয়ায় আমি বিস্মিত হই। আমার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না আমাকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। কথাগুলো শুনছিলাম আর আমার মনে হচ্ছিল যেন কোনো রূপকথার গল্প। অথবা ওই শিক্ষকের মানসিক বিকৃতি ঘটেছে। আমার মতো কোনো ছাত্রী যেন দুশ্চরিত্রের অধিকারী ওই শিক্ষকের শিকার না হয় সে জন্য বাবা-মাসহ সকলকে সতর্ক করতেই এভাবে পোস্ট দিলাম।
এদিকে তার এই পোস্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যার প্রেক্ষিকে শনিবার সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ সহকারী শিক্ষক রাজিব চক্রবর্তীকে সাময়িক বরখাস্ত করে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।
শিক্ষক রাজিব চক্রবর্তী বলেন, কেউ আমাকে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা প্রেম ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাবের অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি এমন কাজ করিনি। ওই ছাত্রীকে দিয়ে কে বা কারা ফেসবুকে এমন পোস্ট দিয়েছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।
#বিডি২৪লাইভ ডট কম