ads
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

জমি দলিলের ৮ দিনেই স্বয়ংক্রিয় নামজারি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৯ বার পঠিত

এখন থেকে জমি কিনে রেজিস্ট্রি করার আট দিনের মধ্যেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে (অটোমেটিক) নামজারি হয়ে যাবে। এমন আইন করে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বর্তমানে ১৭টি উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এক বছরের মধ্যে সারা দেশে একই নিয়ম বাস্তবায়িত হবে। ফলে হয়রানি ও মামলার সংখ্যা কমবে, কমবে জনভোগান্তি- বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অংশ নেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি বিষয়কে সহজ করে দুর্ভোগ কমাতেই নতুন এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জমি নিয়ে ঝামেলা কমাতে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ফলে জমি রেজিস্ট্রেশনের আট দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে। সরকারের এ উদ্যোগ যুগান্তকারী। এর ফলে মানুষের হয়রানি ও মামলার সংখ্যা কমে আসবে। দেশের মানুষ, সর্বসাধারণ, বিনিয়োগকারী সবার জন্য নতুন একটি অধ্যায় সৃষ্টি হলো।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, চলতি বছরের প্রথমদিকেই কীভাবে জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি এগুলোকে আরও কমফোর্ট করা যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মানুষের যাতে হয়রানি না হয়, সময় যেন না লাগে। এখনকার সিস্টেম অনুযায়ী ভূমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা সার্কেল ভূমি অফিস থেকে সম্পন্ন হতো।

দুটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকার ফলে সবসময় নামজারি করা কঠিন ছিল। এ কারণে দীর্ঘসূত্রতা ছিল এবং রেজিস্ট্রেশনেও অস্পষ্টতা ছিল। যেকোনো জমি যে কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারত।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখন থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিসের মধ্যে একটা ইন্টারনাল সফটওয়্যার থাকবে। বাংলাদেশের সব এসিল্যান্ড অফিসে চার কোটি ৩০ লাখ রেকর্ড অনলাইনে চলে এসেছে। এখন থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও এসিল্যান্ড অফিস একজন অপরজনের সার্ভারে ঢুকতে পারবে। যখন কারও কাছে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাবে, তখন সাব-রেজিস্ট্রার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে দেবেন না।

তিনি অনলাইনে এসিল্যান্ডের অফিস থেকে রেকর্ড অব রাইটস পরিসংখ্যান জানবেন। তিনি আরও জানান, এতদিন দুটি দলিল করতে হতো। এখন থেকে তিনটি দলিল করতে হবে। বাড়তি একটা এসিল্যান্ড অফিসও পাবে। যেহেতু এসিল্যান্ড দলিল অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছেন এবং তার কাছ থেকেই জমির ভেরিফিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। সুতরাং এসিল্যান্ডের আর বাড়তি কিছুই লাগবে না।

তিনি অটোমেটিক্যালি সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমেই মিউটেশন (নামজারি) কমপ্লিট করবেন। এ ক্ষেত্রে কাউকে ডাকতে হবে না। এটা সর্বোচ্চ আট দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তবে আট দিনও মময় লাগবে না। এই আট দিনের মধ্যে অটোমেটিক্যালি নামজারি হয়ে যাবে। ১৭টি উপজেলায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনেকে জমি রেজিস্ট্রেশন করেন, মিউটেশন করেন, কিন্তু রেকর্ড করেন না। এখন থেকে রেকর্ডটাও করতে হবে। এসিল্যান্ডের দায়িত্ব থাকবে মাসিক রিপোর্ট দেবেন কতটা মিউটেশন হলো এবং কতটা রেকর্ড হলো। নইলে খাজনা দিতে গেলে সমস্যা হয় এবং অন্যান্য অনেক সমস্যা হয়।
#সূত্রঃ দৈনিক খোলা কাগজ

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৭
  • ১২:০১
  • ১৬:৩০
  • ১৮:২৬
  • ১৯:৪৩
  • ৫:৩৩
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102