মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বাঙালি জাতির জীবনে অনন্য সাধারণ একটি দিন।
আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় গোটা জাতি পালন করছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সবধরণের প্রস্তুতির পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই মুক্তিযুদ্ধে শহিদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সাধারণ জনগণ। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এবং দুপুর ১টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্মৃতিসৌধে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে তিন বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিকরা।
এর আগে, ভোরে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় একে একে ৫০ বার তোপধ্বনি দেয়া হয়। প্রথাগতভাবে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান জানানো হলেও এবার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ৫০ বার তোপধ্বনি দেয়া হয়।
অন্যদিকে, সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জেলায় জেলায় বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।