জামালপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলার রায় ঘোষণার পর রবিবার দুপুরে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
রবিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিহত মোমিনের চাচা আনছার আলী প্রমানিক, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর ৫ আসামি কলম প্রমানিক, শাহীন, সাইদুল, শাইবানু, শাবজান আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোকাম্মেল হক জানান, আসামিগণের অনুপস্থিতে মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হওয়ায় তারা ন্যায়বিচার পায়নি, যেহেতু মামলার রায় হয়েছে তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসামিগণ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের জন্য আপিল করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র বলেন, মোমিন হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত সকল পলাতক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে, আশা করছি আদালতের রায় বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জামালপুর সদরের কুমারঘাতী এলাকার রইচ উদ্দিনের বড় ছেলে মমিনের সাথে তার চাচা আনছার আলী ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে আনছার আলী তার ভাতিজা মমিনের মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুইদিন পর মমিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরে নিহতের বাবা রইচ উদ্দিন তার ছোট ভাই আনছার আলীসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলায় আদালত রায় দেন।