মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় কারাবন্দি সালামত উল্লাহ খান (৮৪) মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে এই তথ্য জানিয়েছেন সালামত উল্লাহ খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
এই আইনজীবী বলেন, গত তিন বছর ধরে সালামত উল্লাহ খান অসুস্থ। এ কারণে তার জামিনের আবেদন করেছিলাম। জামিন শুনানির জন্য আজ (মঙ্গলবার) ট্রাইব্যুনাল তারিখও নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু শুনানির আগেই সকালে তিনি মারা যান। বিষয়টি ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছি। পরে ট্রাইব্যুনাল তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
সালামত উল্লাহ খানের মামলার তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরিতকরণসহ ১৩টি অভিযোগ আনে তদন্ত সংস্থা।
এই মামলায় শুরুতে আসামি ছিলেন ১৯ জন। তবে গ্রেফতার হওয়া একজন মারা যাওয়ায় মোট আসামি হন ১৮ জন। এ মামলায় নতুন করে আরও একজন আসামি অন্তর্ভুক্ত করায় আবারও আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯ জনে।
কক্সবাজারের সালামত উল্লাহ খান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মৌলভী জাকারিয়া শিকদার, মো. রশিদ মিয়া বিএ, অলি আহমদ, মো. জালাল উদ্দিন, মোলভী নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল, মমতাজ আহম্মদ, হাবিবুর রহমান, মৌলভী আমজাদ আলী, মৌলভী আবদুল মজিদ, বাদশা মিয়া, ওসমান গণি, আবদুল শুক্কুর, মৌলভী সামসুদ্দোহা, মো. জাকারিয়া, মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী, মৌলভী জালাল ও আবদুল আজিজ।
তাদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- সালামত উল্লাহ খান, মো. রশিদ মিয়া বিএ, মৌলভী নুরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, মৌলভী ওসমান গনি, মৌলভী শামসুদ্দোহা ও মো. জিন্নাত আলী।