নারায়ণগঞ্জে জীবিত কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে কথিত জবানবন্দি দেয়া তিন আসামির মধ্যে নৌকার মাঝি খলিলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত৷
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে, নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান শুনানি শেষে এই আসামির জামিন মঞ্জুর করেন৷
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ মিয়া জানান, মঙ্গলবার জামিন আবেদন করলেও আদালত বুধবার শুনানির তারিখ ধার্য করেন। নির্ধারিত তারিখ বুধবার দুপুরে জামিন শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে এই মামলার প্রধান আসামি আব্দুল্লাহর জামিন আবেদন করেছেন জানিয়ে তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. রোকন উদ্দিন বলেন, আদালত আগামী ৭ সেপ্টেম্বর তার জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই স্কুলছাত্রী কিশোরী নিখোঁজ হলে এক মাস পর ৬ আগস্ট তার বাবা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিন আসামি আবদুল্লাহ, রাকিব ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেপ্তারের পর তারা ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে মরদেহ ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেয়। ২৩ আগস্ট ওই কিশোরী জীবিত উদ্ধার হলে পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া আসামিদের জবানবন্দি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একই সঙ্গে আসামিদের পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২৫ আগস্ট তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩১ আগস্ট চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্তসহ এসআই শামীমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়।