ঝালকাঠির মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে দুই বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ আছে অ্যানেসথেশিয়া দেয়ার চিকিৎসক না থাকায়।
কয়েক বছর আগেও হাসপাতালে গিয়ে সিজার করাতে আগ্রহ ছিল না গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন জটিলতায় এখন অনেক সময় সিজারের প্রয়োজন হয়।
ঝালকাঠির ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। স্বল্প আয়ের মানুষসহ অন্ত:সত্ত্বা মায়েরা এখানেই চিকিৎসা নেন। কিন্তু অ্যানেসথেশিয়া দেয়ার চিকিৎসক না থাকায় প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ সিজার কার্যক্রম। ফলে সেবা নিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
সিজারের প্রয়োজন হলে ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা বরিশালে। এতে বাড়ছে নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি। পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
হাসপাতালের কর্মরতরা জানান, অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসকের সংকটে আমাদের এখানে সিজার করা হয়না। যদি অ্যানেসথেশিয়া ডাক্তার পাওয়া যায় তাহলে আবার আমরা এই চিকিৎসা দিতে পারবো।
উচ্চতর প্রশিক্ষণে গিয়ে অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসক কর্মস্থলে আর ফিরে আসেননি। তার পরিবর্তে কাউকে নিয়োগ না দেয়ার কথা জানান চিকিৎসক।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ জোয়াহের আলী বলেন, নরমাল ডেলিভারি যেগুলো আসে সেগুলো আমরা করতে পারি। অন্যান্য সেবাগুলোও আমরা ঠিকমত দিতে পারছি। আমাদের এখানে আধুনিক চিকিৎসার সব সুযোগ থাকলেও অ্যানেসথেশিয়ার চিকিৎসক না থাকায় এই সেবা আমরা দিতে পারছি না।
বিষয়টি স্বীকার করে শিগগিরই অ্যানেসথেশিয়া চিকিৎসক নিয়োগের কথা জানান পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা এই বিষয়ে খুব শিগগিরই সিভিল সার্জন মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। উনাদের অ্যানেসথেশিয়ার যে ডাক্তার আছে ইমার্জেন্সি মুহূর্তে আমরা যদি চাই তাহলে তাকে দিয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে তাকে দিয়ে সিজার সেবা আবার শুরু করার চেষ্টা করবো।
সুস্থ মা, সুন্থ সন্তান। আর তাই অন্ত:সত্ত্বা মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে শিগগিরই চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।