শেরপুরঃঃ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও বাজার থেকে জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত এই ৬ কিলোমিটার সড়ক এখন বেহাল অবস্থা।
ভোগান্তির শেষ নেই আশপাশের ১০ গ্রামের অন্তত: ১৫ হাজার মানুষের। রয়েছে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,৪টি মসজিদ, দুটি বাজার। ভোক্তভোগীরা জানিয়েছে সড়কের এই দুরাস্থার মাদ্রাসা গুলো এখন খোলা থাকলেও শিক্ষার্থী আসে না। বাজারেও যেতে পারে না মানুষজন মসজিদেও মুসল্লী নেই।
রাস্তার পাশে হাজার খানেক বাড়ীঘরের মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়লেও কোন জন প্রতিনিধি খবর নেয়নি বলে মানুষজনের অভিযোগ।অসংখ্য কৃষক জানিয়েছে কৃষি প্রধান এই অঞ্চলটিতে হাজার হাজার মন ধান উৎপাদন হয়। রাস্তার কারণে বাজারে ধান আনা নেওয়া করা যায়না। কম দামে ফরিয়াদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। কজন দুধ খামারি জানিয়েছে রাস্ত্মার কারণে বাজারে নিয়ে দুধও বিক্রি কারা যাচ্ছেনা। এলাকার শিক্ষার্থীদের অীভযোগ বর্ষার ছমাস তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। সাধারন মানুষের অভিযোগ এই রাস্তাটির কারণে এই এলাকার মানুষের সাথে কেউ আত্নিয়তা করতে চায় না।
২৫ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে আসছেন রাস্তার করে দিবেন,কিন্তু হয়নি। সরকারের কাছে জনসাধারনের দাবী চলাচলের জন্য ইটের সলিং হলেও করে দেওয়া হোক।
স্থানীয় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু জানিয়েছেন এমপি ছাড়া দুপয়সার কাজ করার ক্ষমতা চেয়ারম্যানের নেই। এমপির উপর দায় দিয়ে তিনি বলেন শুনেছি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপজেলা প্রকৌশলি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, দ্রুত সময়েই কার্পেটিংসহ ইটের সোলিং এর টেন্ডার হবে। আগামি শীতেই মানুষজন সুফল পাবে।
সূত্রঃ চারুবার্তা