টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কর্তৃক এক অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এ অভিযান চালায়।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খানের (পিএসসি) পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, বিজিবির অভিযানে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক এক কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীন লেদা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিআরএম-১০ হতে ৮০০ গজ দক্ষিণে লবণ মাঠসংলগ্ন এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়।
ওই সংবাদের ভিত্তিতে লেদা বিওপির একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গোপনে অবস্থান করে। আনুমানিক রাত ৩টা ২০ মিনিটে টহলদল একজন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে ছ্যুরিখাল ও বিএসপি পোস্টের মাঝ বরাবর নাফ নদী পার হয়ে সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। টহলদল তাৎক্ষণিক অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করার জন্য চ্যালেঞ্জ করে।
সে সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ঘন কুয়াশা ও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কেওড়া বাগানের আঁড় ব্যবহার করে ওই দুষ্কৃতিকারী দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে নাফ নদীর কিনারা তল্লাশি করে ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া একটি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভেতর এক কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, পরবর্তীতে দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও কোনও পাচারকারী ও তার সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও মিডিয়াকর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলে বার্তায় জানানো হয়েছে।