নাটোরের বড়াইগ্রামে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এক যুবককে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এতে তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সেটি তুলে নিতে ভুক্তভোগীকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার চাচা মুক্তিযোদ্ধা মোমিনুল হক। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোরের ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে এই অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, মামলায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হলেও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার না হওয়া তিনজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাস জানান, হুমকির বিষয়ে বাদী পক্ষ তাদের অবহিত করেনি। মামলায় অভিযুক্ত বাকি তিনজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গেল ২৭ আগস্ট নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া এলাকার তাসলিমা আক্তার মৌ তার সাবেক স্বামী আল আমিন হককে ফোন করে জরুরি কথা বলার কথা বলে বাড়িতে ডাকে। এসময় মৌ ও তার পরিবারের সদস্যরা আল আমিন হককে বেঁধে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় আল আমিন হকের পিতা জহুরুল হক ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ এই ঘটনায় মৌসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ার এলাকার বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী আল আমিন হকের সঙ্গে এক বছর আগে একই এলাকার তাসলিমা আক্তার মৌয়ের বিয়ে হয়। চার মাস আগে বিচ্ছেদ হয়।