ads
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

দেশে আসার অপেক্ষায় আইসিডিডিআর,বি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৮ বার পঠিত

কভিড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি)। এখন চীন থেকে ভ্যাকসিন আগমনের অপেক্ষা। ভ্যাকসিন পেতে প্রতিদিনই চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আইসিডিডিআর,বির যোগাযোগ চলছে।  প্রতিষ্ঠানটির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) প্রাথমিক অনুমোদনের পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চীন থেকে টিকা আনতে বলার মাঝেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চীনের সিনোভেক রিসার্চ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল হবে বাংলাদেশে।

ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সাতটি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিট-১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট-২ ও ঢাকা মহানগর হাসপাতাল ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এরই মধ্যে হাসপাতালগুলো পরিদর্শনও করেছেন আইসিডিডিআর,বির কর্মকর্তারা।

আইসিডিডিআর,বি বলছে, বাংলাদেশে কভিড ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের (ট্রায়াল) পথে এখন আর তেমন কোনো বাধা নেই। শুধু ভ্যাকসিনটি দেশে আসার অপেক্ষা। সিনোভেকের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিনটির প্যাকেজিং ও শিপমেন্ট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষে থেকে সব ধরনের কাজ শেষ করে চীনা প্রতিষ্ঠানটিকে জানানো হয়েছে। এখন কোন প্রক্রিয়ায় এটি বাংলাদেশে আসতে পারে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা।

আইসিডিডিআর,বির কভিড ভ্যাকসিন স্টাডি দলের প্রধান গবেষক ও প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. কে জামান বলেন, গবেষণা কর্মী থেকে শুরু করে সবাই এ কাজের ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হলে সর্বসাধারণের শরীরে প্রয়োগ করতে ট্রায়ালটি ভূমিকা রাখবে। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে আমরা সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি দেশের জন্য ভালো কিছু হবে।

তিনি বলেন, গতকাল তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এখনো আমাদের সুনির্দিষ্ট দিন জানাতে পারেনি। তবে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে আছে, এটা জানিয়েছে তারা। এজন্য তারিখ বলা সম্ভব না হলেও এটুকু বলা যায় যে শিগগিরই পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে। আমাদের প্রস্তুতি শেষ করে রেখেছি। এখন ভ্যাকসিনের অপেক্ষা। দেশের ক্রান্তিকালে এ উদ্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ফলোআপের সময়ে সব জটিলতা মোকাবেলায় ব্যাকআপ প্রস্তুতি রেখেই আইসিডিডিআর,বি এগোচ্ছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ৪ হাজার ২০০ জন অংশগ্রহণ করবে। তবে তাদের অর্ধেক ভ্যাকসিন পাবে, অন্যরা পাবে না। তারা ট্রায়াল প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ গবেষণায় অংশ নেবে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিতে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। ট্রায়ালে অংশ নিতে হবে স্বেচ্ছায়। কিন্তু কভিড রোগীর সেবাদানকারী, স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। মূলত ঝুঁকি বেশি থাকায় তাদের শরীরে এ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হবে। ট্রায়ালের জন্য মাঠপর্যায়ে নিযুক্ত হবেন এমন গবেষক ও কর্মীদের নিয়োগের প্রক্রিয়াও প্রায় শেষ করেছে আইসিডিডিআর,বি। তাদের অধিকতর প্রশিক্ষণ চলমান।

কভিড ভ্যাকসিনের এ ট্রায়াল প্রক্রিয়া চলবে দুই মাস। এ সময়ের মধ্যে ট্রায়াল শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তারপর তাদের ছয় মাস ফলোআপ করা হবে। ফলোআপের সময়েও অংশগ্রহণকারীদের সেবা দেবে আইসিডিডিআর,বি। এ ব্যাপারে ব্যাকআপ প্ল্যান রেখে এগোচ্ছে তারা। ভ্যাকসিনটি স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে প্রয়োগের পর তাকে একটানা ৮ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর পরের সপ্তাহে প্রতিদিন তাকে ফলোআপ করা হবে। এই এক সপ্তাহ টানা পর্যবেক্ষণের পর পরের সপ্তাহ থেকে একদিন নির্ধারিত তারিখে তাকে ফলোআপ করা হবে।

ভ্যাকসিন নেয়া কেউ ট্রায়াল প্রক্রিয়া চলাকালে সামান্য অসুস্থতা বা অসুবিধা বোধ করলে আইসিডিডিআর,বিকে জানাতে পারবে। এজন্য একটি কল সেন্টার চালু থাকবে। কল সেন্টারে জানানো হলে বাড়িতে পৌঁছে যাবে আইসিডিডিআর,বির সেবক দল। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহণকারী যে প্রতিষ্ঠানের কর্মী সেখানেও সেবা নিতে পারবে। আইসিডিডিআর,বির পক্ষ থেকে দেখভাল করা হবে। মূলত পুরো প্রক্রিয়া চলাকালে এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ভ্যাকসিন গ্রহণকারীকে পর্যবেক্ষণ এবং তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

সিনোভেকের সঙ্গে আইসিডিডিআর,বির ভ্যাকসিন পরীক্ষার চুক্তি অনুযায়ী, টিকার পরীক্ষা সফল হলে সিনোভেক বাংলাদেশকে টিকা তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে। তবে সে প্রযুক্তি বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো কতটুকু সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারবে, সে আলোচনাও চলছে জোরেশোরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র বলছে, এর বাইরে বিনা মূল্যে ও অল্প মূল্যে টিকা সংগ্রহের জন্য সম্ভাব্য উৎসগুলো পর্যালোচনা করছে সরকার। টিকা সংগ্রহের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প তৈরির কাজও চলছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102