দেশীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় উৎপাদন খরচ কমলেও দশ শতাংশ বেশি দামে আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে। অথচ, অতিরিক্ত ক্ষমতা নিয়ে অলস বসে ছিল বহু কেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। কেবল তাই নয়, প্রায় সাড়ে আট শতাংশ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হলেও, প্রকৃত ব্যবহার বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তথ্যেই স্পষ্ট বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের অব্যবস্থানা।
দেড়শর ওপরে বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন পুরো দেশজুড়ে। নির্মাণ চলছে আরো বেশ কয়েকটির। ক্যাপটিভসহ উৎপাদন ক্ষমতাও ছাড়িয়েছে সাড়ে তেইশ হাজার মেগাওয়াট। যা প্রতি বছরই বাড়ছে গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে।
তবে, উৎপাদন বৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী এই ধারার সাথে সমান্তরালে হাঁটতে পারছে না চাহিদা। পিডিবির প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে সাত শতাংশ। বিপরীতে প্রকৃত ব্যবহার বেড়েছে ১ শতাংশের কিছু বেশি। আগের অর্থবছরেও প্রায় ১৯ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধির বিপরীতে প্রকৃত ব্যবহার বেড়েছিল সাড়ে ১২ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রতি বছরই যোগ হচ্ছে অলস ক্ষমতা।
ক্ষমতার বাইরে, ব্যয় ব্যবস্থাপনা নিয়েও অদক্ষতার ছাপ এই খাতে। কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদিত বিদ্যুতের একমাত্র ক্রেতা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সবশেষ অর্থবছরে সংস্থাটি এর পেছনে ব্যয় করেছিল ৪১ হাজার কোটির বেশি। তবে, পিডিবির নিজস্ব কিংবা সরকারি কেন্দ্র থেকে কম কেনা হলেও, সাড়ে আট শতাংশ খরচ বেড়েছে আমদানি বাবদ। কেবল তাই নয়, বছর ব্যবধানে সার্বিকভাবে ইউনিটপ্রতি উৎপাদন ব্যয় কমলেও ভারত থেকে কেনা হয়েছে ১০ শতাংশ বেশি দামে।
চাহিদা কম থাকায় সবশেষ অর্থবছরে কিছুটা কমেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের।