বগুড়ার শেরপুরে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ১৭ দিন কারাভোগ করেও পুরো মাসের বেতন তুলেছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার মনিরুজ্জামান প্লাবন।
জানা গেছে, ওই উপজেলার খানপুর দহপাড়ার এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের পর ১৫ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে ঘটনাটি গ্রাম্য সালিসে ধামাচাপা দেয়া হয়। সালিসে নেতৃত্ব দেন মনিরুজ্জামান প্লাবন। পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারের করা মামলায় ৬ আগস্ট প্লাবনসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ১৭ দিন পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছ থেকে চাকরির প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আদালতে জমা দিয়ে জামিন নেন মনিরুজ্জামান প্লাবন।
এদিকে ১৭ দিন কারাভোগ করলেও অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান প্লাবনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে জেলে থাকা অবস্থায় পুরো আগস্ট মাসের সরকারি বেতন-ভাতা তুলতে সহযোগিতা করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের। অথচ সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলে তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হবেন। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ বেতনের অর্ধেক পাবেন।
অভিযুক্ত স্বাস্থ্য সহকারী মনিরুজ্জামান প্লাবন বলেন, আমি ৫ আগস্ট সিলেট যাওয়ার জন্য ১০ দিনের ছুটি চেয়েছিলাম। সেটাই কাজে লেগেছে। এখন জামিনে আছি। এছাড়া নিয়মিত দাফতরিক সব কাজ করে যাচ্ছি।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ওই সিএইচসিপির গ্রেফতারের বিষয়টি অফিসিয়ালি জানি না। লিখিতভাবে কেউ জানায়নি। তাই তিনি জেলে ছিলেন নাকি অন্য কোথাও ছিলেন তা আমার জানা নেই।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজার রহমান তুহিন বলেন, নিয়মানুযায়ী ওই সিএইচসিপি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার কথা। কিন্তু কেন হয়নি বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।