ধর্ষণ ও হত্যার পর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দির ৫১ দিন পর কিশোরীর বাড়ি ফিরে আসার ঘটনার মামলার শুনানি আজ।
ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর বাড়ি ফিরে এসেছে কিশোরী। এ ঘটনা তদন্তে দু’টি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। এদিকে, মামলার সব নথি চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিভিশন মামলা হয়েছে।
গত চৌঠা জুলাই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিশা মনি নিখোঁজ হয়। ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। স্বীকারোক্তিতে জানায় যে, তারা সেই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
জবানবন্দী গ্রহণের পর আসামিদের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু ২৩ আগস্ট সেই কিশোরী শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে আসলে আসামিরা ‘ধর্ষণ’, ‘হত্যা’ এবং পরে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার স্বীকারোক্তি কীভাবে দিয়েছিলেন-এ প্রশ্ন তোলা হয় হাইকোর্টে।
ধর্ষণ-হত্যা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তির ৫১ দিন পর কিশোরী বাড়ি ফেরার ঘটনায় ব্যবস্থা চেয়ে ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্টে বেঞ্চে এই মামলাটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।