নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরিঘাটে বালুর ট্রাকের সঙ্গে খড়বোঝাই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২ জন।
পুলিশ জানায়, ২০ নভেম্বর ( শুক্রবার) ভোর পৌনে ৫টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আঙ্গরিয়া গ্রামের শরৎ চন্দ্র বর্মণের ছেলে দীনেশ চন্দ্র বর্মণ (৩৮) এবং একই গ্রামের দীনবন্ধুর ছেলে দীনেশ (৩৬)।
আহতরা হলেন-কুড়িগ্রাম জেলার আঙ্গরিয়া গ্রামের মৃত হরি চন্দ্র দাসের ছেলে গৌরাঙ্গ চন্দ্রসহ ওই দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের হেল্পার কুড়িগ্রামের নলেয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৩৫) এবং রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইলহাট এলাকার অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। এদের মধ্য থেকে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ছাড়া কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নিজামুদ্দিনের ছেলে আহত ট্রাক ড্রাইভার মোহাম্মদ শিপন আলী (২৪) এবং একই গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম অপুকে (৩৫) ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা দুজনে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, হতাহতরা ঢাকা মেট্রো ট- ২৪-১৩১০ নম্বর যুক্ত একটি খড়বোঝাই ট্রাকে করে বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের কুড়িগ্রাম হইতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইলহাটে পান কেনার জন্য আসছিলেন। এ সময় কুড়িগ্রাম থেকে আসা ট্রাকটি মান্দার ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থিত শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট সংলগ্ন জোনাকি হোটেল এবং কুসুম্বা ফিলিং স্টেশনের সামনে নওগাঁ- রাজশাহী মহাসড়কে পৌঁছালে কুয়াশাছন্ন রাস্তায় দাঁড় করানো আরেকটি বালুর ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খড়ের ট্রাকে থাকা দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।