শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ‘আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান’ ব্যানারে যথাযোগ্য মর্যাদায় জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ৩ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের উদ্যোগে ও আয়োজনে ‘আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান’ ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন, কালো ব্যাজ ধারণ এবং বিকেলে জাতীয় চার নেতার স্মরণে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান’র ডাকে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের ঝুমুর সিনেমা হলমোড়ে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক লীগ নকলা উপজেলা শাখার সভাপতি ও শেরপুর জেলা পরিষদ সদস্য খন্দাকার রবিউল করিম মানিক-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পরিষদ সদস্য সানোয়ার হোসেন ছানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা অওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. বোরহান উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অনিল কুমার রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উৎপল। তাছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিকরুল হাসান পিকুল, ছাত্রনেতা কৃষিবিদ মিজানুর রহমান, তাসনিমুল হাসান নির্ভীক ও আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত কামনায় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাংলাদেশ শ্রমিক লীগ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মিয়াসহ উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উৎপল তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি কাছের ও বিশ্বস্থরাই দায়ী ছিলো। এটা হলো বাঙালি জাতির জন্য প্রথম কলঙ্কিত অধ্যায়। এ ঘটনার কিছু দিন পরেই (৩ নভেম্বর) দেশকে নেতৃত্ব ও মেধা শূণ্য করার লক্ষে ঘাতকের দলেরা জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে নির্মমভাবে হত্যা করে। এটি ছিলো বাঙালি জাতির জন্য দ্বিতীয় কলঙ্কিত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এমন হত্যার বিচার হয়েছে এবং সকল বিচার হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা অওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. বোরহান উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্টের লক্ষে প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের তথা বিরোধী দলে থাকা কালে দুঃসময়ের নির্যাতিতদের এখন সুসময়ে রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। আর এসকল হীন কৌশলের মূলহুতা যে বা যারা, তারা নিঃসন্দেহে দলত্যাগী বা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী। তারা আওয়ামী লীগের সুবিধা ভোগের জন্য এসেছে; স্বার্থ উদ্ধার হলে বা স্বার্থে একটু আঘাত লাগলেই তারা আওয়ামী লীগের বিরোদ্ধাচরন করবে। এমন ছদ্দবেশী নেতাকর্মীদের থেকে সাবধানে থাকতে সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।