শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় যুব সমাজ কল্যান সংস্থা নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক লুৎফর রহমান লিখন (এম.এ) এতিম শিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী জন্ম দিবস পালন করেছেন। ৫ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে উপজেলার কয়েকটি এতিম খানার শিশুদের জন্য উন্নত মানের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করাসহ এতিম শিশু শিক্ষার্থী ও অসহায়দের মাঝে শীত নিবারনের বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় যুব সমাজ কল্যান সংস্থার আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো: শফিকুল ইসলাম পিপুল, সদস্য মো. হাফিজুল ইসলাম, মে:. এস.কে রাফিজ, মো: জিহান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট এতিম খানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকার গন্যমান্য, যুব সমাজ কল্যান সংস্থার অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

স্বেচ্ছাসেবক লুৎফর রহমান লিখন (এম.এ) বলেন, দেশে অনেকে আছেন যারা তাদের জন্মদিনে অগণিত টাকা ব্যয় করে বিভিন্ন ভাবে দিনটিকে উপভোগ করে থাকেন। যা একান্ত জরুরি নয় এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করা ছাড়া তেমন কোন কাজে আসেনা। আর তারা যদি ওই টাকায় এতিম অসহায়দের সহায়তা করতেন তাহলে অনেক এতিম অসহায়রা কতইনা উপকৃত হতেন? এমন চিন্তা ভাবনা থেকেই লুৎফর রহমান লিখন তাঁর জন্ম দিবস উপলক্ষে এতিম শিশুদের মাঝে উন্নত মানের খাবার ও শীত বস্ত্র বিতরণ করাসহ অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণের মতো মহতী উদ্যোগ হাতে নেন।।

তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই যুব সমাজ কল্যান সংস্থার পক্ষ থেকে আমরা কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাধ্যানুযায়ী সহায়তা করে আসছি। এর ধারাবাহিকতায় শীতের শুরুতেই আমারা শীত নিবারনের বস্ত্র ও কম্বল নিয়ে অসহায়দের পাশে ছুটে এসেছি। তিনি জানান, তাদের সংগঠনের সদস্যরা পুরো শীতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে অসহায় এতিমদের খুঁজে বেড় করে তাদের মাঝে শীতের বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করবেন।

স্বেচ্ছাসেবক লুৎফর রহমান লিখন নকলা শহরের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর ছেলে। তিনি ১৯৮৬ সালের মহান বিজয় মাসের শুরুর দিন তথা পহেলা ডিসেম্বরে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর ঘর আলোকিত করে জন্ম গ্রহণ করে। তিনি বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত আছেন। জন্ম ভূমি ও জন্ম ভূমিতে বসবাসকারী অসসহায় মানুষের কথা মনে হলেই তিনি ছুটির দিনে ছুটে আসেন তাঁর প্রিয় জন্ম ভূমি নকলায়। তিনি আজীবন এভাবেই অসহায়, দরিদ্র ও এতিমদের পাশে থেকে সেবা মূলক কাজ করে যেতে চান। এর জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামান করেছেন তিনি।