নেশাগ্রস্থ অবস্থায় স্ত্রী তিশাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বাপ্পি কর্মকার। ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিশাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশে জানান তিনি।
এর আগে শনিবার নগরীর অমৃত লাল দে সড়কে অবস্থিত নিজ বাসা থেকে গৃহবধূ তিশা কর্মকারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী বাপ্পি কর্মকারকে আটক করে পুলিশ।
তিশা কর্মকার পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি এলাকার বাঁশতলা গ্রামের সুদেব হালদারের মেয়ে। তিন বছর পূর্বে অমৃত লাল দে সড়কের বাসিন্দা রবিন কর্মকারের ছেলে বাপ্পি কর্মকারের সাথে বিয়ে হয় তার। বাপ্পী নেশাগ্রস্থ হওয়ায় তাদের পরিবারে কলহ লেগেই ছিলো।
প্রথমেই হত্যার আলামত পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ। তবে শ্বশুড় বাড়ির সদস্যরা জানায় গলায় দড়ি দিয়ে বৈদ্যুতিক পাখায় ঝুলে আত্মহত্য করেছে তিশা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গলায় দড়ি দিয়ে তিশা আত্মহত্য করে দাবি করে স্বজনরা। তবে রাত থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ করলেও শনিবার দুপুরের দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের এসআই ফিরোজ আল মামুন জানান, হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বাপ্পি কর্মকার। ঘটনার রাতে নেশাগ্রস্থ বাপ্পি তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের সহকারি কমিশনার মো: রাসেল জানান, মৃতের হাতে এবং গলায় দাগ দেখে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে হত্যার কথা স্বীকার করেন বাপ্পি। এরপর তাকে আটক করা হয়।