নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের কবলে পড়ে দেশের আমদানি বাণিজ্যে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসছে। পণ্য খালাস না করে বিদেশি জাহাজগুলো অলস বসে থাকায় দিনে শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। সেই সাথে ধর্মঘট দীর্ঘস্থায়ী হলে শিল্পের কাঁচামাল এবং ভোগ্যপণ্য সংকটের আশংকা রয়েছে।
গত দু’দিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় ৯ লাখ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে অলস বসে আছে ৪০টির বেশি বিদেশি জাহাজ। নির্ধারিত সময়ের বেশি বন্দরে অবস্থান করায় এসব জাহাজকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুণতে হয়। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বিদেশি জাহাজ মালিকদের কাছে ইমেজ সংকটের মুখে পড়ছে চট্টগ্রাম বন্দর।
বহিনোঙরে অবস্থানরত মাদার ভ্যাসেল থেকে প্রতিদিন অন্তত দেড় লাখ মেট্রিক টন পণ্য খালাস শেষে দেশের বিভিন্ন ঘাট এবং নদী বন্দরে পৌঁছে দেয় লাইটারেজ জাহাজগুলো। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে কোথাও কোন পণ্য খালাস হচ্ছে না।
তবে শ্রমিকরা বলছেন, নিরুপায় হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
বাংলাদেশের আমদানি পণ্যের ৪০ শতাংশের বেশি পরিবহন করে লাইটারেজ জাহাজগুলো। একই সাথে আমদানিকৃত তেল পরিবহন করা হয় লাইটার অয়েল ট্যাংকারের মাধ্যমে।