নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের বরখাস্ত হওয়া সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ড. এস এম নাজমুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে ২০১৮ সালে নাজমুল হককে ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার করে দুদক কমিশন।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুদক কার্যালয়ে নাজমুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কমিশনের উপ পরিচালক সালাউদ্দিন।
সাবেক এই প্রধান প্রকৌশলীর নাম এসেছে স্ট্যাবলিস্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিস্ট্রেস এন্ড সেফটি সিস্টেম এবং ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে।
অভিযোগে বলা হয়, এ প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। আর তার প্রধান চাবিকাঠি নেড়েছিলেন দুদকের হাতে ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ আটক নাজমুল হক। এই অনিয়মের সঙ্গে বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সেগুন হোটেল থেকে দুদকের উপ-পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তি ও মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামীয় যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদনের জন্য নাজমুল হকের কাছে গেলে তিনি ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করেন। এরপর দুদক সকল বিধি-বিধান অনুসরণ করে কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারে নেতৃত্বে ফাঁদ মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয়।
এর অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ১২ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৬টায় ঘুষের টাকার কিস্তি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা রাজধানীর সেগুন হোটেলে বসে যখন নাজমুল হক গ্রহণ করছিলেন, ঠিক তখনই ওৎ পেতে থাকা দুদকের বিশেষ দলের সদস্যরা ঘুষের টাকাসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন।
ওই ঘটনায় বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ।