পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে পিলারের উচ্চতা ও রাস্তার দুই পাশের প্রশস্ততা নিয়ে ত্রুটি ও মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। তবে রেলমন্ত্রী তা ত্রুটি হিসেবে মানতে নারাজ; বলছেন ইন্টারফেজ কমিটি কাজ করছে; শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, পরে যশোর। সবিমিলিয়ে চলছে ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণ কাজ।
৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু ও রেলওয়ে সংযোগে দেখা কারিগরি ত্রুটি। মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ ভায়াডাক্ট পিয়ার বর্তমান হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ১১ দশমিক ৫ মিটার। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ ১৫ দশমিক ৫ মিটারে উন্নীত করতে চিঠি দিয়েছে রেলমন্ত্রণালয়ে।
একই সমস্যা জাজিরা প্রান্তেও। রেলের ২৫ নং ভায়াডাক্ট পিয়ার হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ১৩.৯ মিটার থেকে ১৫ মিটার না হলে বিঘ্নিত হবে যান চলাচল।
তবে মূল সেতুর নদীর উপর অংশে নেই কোনো জটিলতা। কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে সরেজমিনে জানেত গিয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
মন্ত্রীর আশা ঢাকা থেক ফরিদপুর পর্যন্ত রেল সংযোগের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের জুনে। তবে যশোর পর্যন্ত কাজ শেষ হতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।