ময়মনসিংহ সদরের চর হাসাদিয়া গ্রামে চেতনানাশক মেশানো দই খাইয়ে অচেতন করে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাকারিয়া নামে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (২১ অক্টোবর) রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর একটি দল ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জাকারিয়া অচেতন করে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এফতেখার উদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে র্যাব অভিযুক্তকে খুঁজতে থাকে। বুধবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে দাপুনিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
সে জানিয়েছে, ময়মনসিংহ সদরের একটি ওষুধের দোকান থেকে তিনটি ঘুমের ট্যাবলেট কিনে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে সোমবার (১৯ অক্টোবর) ঘরে গিয়ে নির্যাতিতা কিশোরী, তার ছোটবোন ও নানীকে খেতে দেয়। অচেতন হয়ে গেলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেছেন জাকারিয়া।
নির্যাতিতা কিশোরী জানান, অচেতন হওয়ার আগে জাকারিয়াকে বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরে দেখেন তিনি। এরপর আর কিছু মনে নেই তার। মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করার পর সারা শরীরে ব্যথা অনুভব হয় তার। এ ঘটনায় জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি নির্যাতিতা ও তার স্বজনদের।
এদিকে, মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোতোয়ালী থানার ধর্ষণ প্রতিরোধ টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত ও নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করে।
কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) মুশফিকুর রহমান জানান, বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেলে নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত জাকারিয়াকে একমাত্র আসামি করে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিতা কিশোরী।
জানা গেছে, মা মারা যাওয়ার পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় চলে গেলে দুই বোনের আশ্রয় হয় নানীর কাছে। চলতি বছর এসএসসি পাস করে নির্যাতিতা কিশোরী।