জামালপুর; জামালপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জামালপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কম্পপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানান, সাঈদালী জামালপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কম্পপুর মধ্যপাড়া এলাকার এক মুদি দোকানি। একই ঘরের সামনের কক্ষে তার মুদি দোকান। তিনি পেছনের কক্ষে স্ত্রী ফাতেমা এবং দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন। ফাতেমা তার চতুর্থ স্ত্রী।
পারিবারিক কলহের জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শোবার কক্ষে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সাঈদালী। এ সময় তিনি তার স্ত্রী ফাতেমার বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ফাতেমা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঘটনার সময় ওই কক্ষে তাদের তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মেয়ে সাদিয়া ও ছোট ছেলে শাহাদাত বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। তাদের নবম শ্রেণি পড়ুয়া বড় মেয়ে সাবিনা ঘরের বাইরে ছিল। সাবিনা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার বাবা ঘাতক সাঈদালী ঘরের বাইরে বের হয়ে তার মেয়ে সাবিনাকে বাইরে রেখেই দরজায় তালা দিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে কেটে পড়ে।
বাইরে থেকে দরজায় তালা দেয়ায় সন্দেহ হলে সাবিনা চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করে। প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে ফাতেমাকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর পরই মুদি দোকানি সাঈদালী বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তার স্ত্রী ফাতেমার বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত ক্ষত হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।