সিরাজগঞ্জে মেয়ের জামাইকে শীতের পিঠা খাওয়ানোর দাওয়াত করে বাড়িতে এনে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) তাড়াশ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) মারধরের ঘটনার ধারণকৃত একটি ভিডিও দেখিয়ে অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার রাকিবুল ইসলাম নিজেই।
গোপনে ধারণকৃত ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, রাকিবুলের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ও হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করছেন তার স্ত্রী জুলেখা খাতুন, শ্যালিকা জায়দা খাতুন ও শ্যালক শামীম হোসেন। আর এসময় রাকিবুল ভয়ে চিৎকার করছেন।
নির্যাতনের শিকার রাকিবুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী পাবনার চাটমোহর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। ২০০৮ সালে কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে জুলেখা খাতুনের সাথে তার বিয়ে হয়।
রাকিবুলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই জুলেখা কারণে-অকারণে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে তাদের দুজনের মাঝে মধ্যে মারধরের ঘটনাও ঘটে।
রাকিবুল আরো অভিযোগ করেন, মূলত প্রতিশোধ নিতেই তার শ্বশুর সোমবার পিঠা খাওয়ানোর জন্য দাওয়াত করে রাত ১১টার দিকে তিন সন্তানকে দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
ঘটনার সময় পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রাকিবুলের শ্যালিকা জায়দা খাতুনের স্বামী মেরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, হঠাৎ রাকিবুলের চিৎকার তার কানে যায়। তাড়াতাড়ি তিনি উঠে এসে প্রথমে জানালা দিয়ে গোপনে ভিডিও করেন। পরে প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
এ সময় রাকিবুলের স্ত্রী জুলেখা খাতুন বলেন, তাকে মারধর করতেন রাকিবুল। তাই একটা উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রাকিবুলের শ্বশুর আব্দুল জলিল ও শাশুড়ি ছানোয়ারা বেগম বলেন, এমন ঘটনার জন্য তারা নিজেরাও অনুতপ্ত। এজন্য তারা সন্তানদের যথেষ্ট শাসন করেছেন।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলে আশিক বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।