কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে পিতা ও সন্তানদের হাতে হাসান (৩৫) নামের এক কাতার প্রবাসী যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর পিতাসহ সন্তানরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বাড়ির ছাদে দুই ভাইয়ের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার আনোয়ার হোসেনের পুত্র হাসান চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরেন। এরপর করোনা প্রভাবের কারণে কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেননি। সম্প্রতি তিনি শখে ছাদ বাগান করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ছাদের বাগান পরিচর্যা করতে গেলে ছোট দুই ভাই সাইফুল, সবুজ ও তার পিতা সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে পিতার উপস্থিতিতেই সাইফুল হাসানকে ইট দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন।
পরে স্ত্রী তানিয়া স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে তারা। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা আহত হাসানকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার ও আলামত হিসেবে ইট জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, টাকা-পয়সা নিয়ে তার স্বামীর সাথে শ্বশুর আনোয়ার হোসেন ও দেবর জাহিদুল হাসান, সবুজের ঝগড়া হতো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সকালে বাড়ির ছাদের উপর গাছের চারা লাগাতে গেলে শ্বশুর ও দেবর উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সন্তানকে ছাদে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে পিতা আনোয়ার দুধ বিক্রি করতে বাজারে চলে যান। আর দু’ভাই পালিয়ে যায়।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।