ads
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

ফল ও মাছ নিয়ে মালীর বাড়িতে ইউএনও

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৮ বার পঠিত

সাতক্ষীরা তালা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের মালী বৃদ্ধ ও অসুস্থ তারাপদ দাস। যৌবনের ৩০ বছর পার করছেন তালা উপজেলা পরিষদে। নিজ হাতে লাগিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চত্বরে শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছগাছালি। সরকারি পুকুরে ছেড়েছেন মাছ। তবে তার ভাগ্যে জোটেনি সেই গাছের কোনো ফল ও পুকুরের মাছ।

২০১২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চাকরি থেকে অবসরে চলে যান তারাপদ। সেই থেকে তার খোঁজ রাখেনি কেউ। অবশেষে নিজের লাগানো গাছের ফল ও পুকুরের মাছ ভাগ্যে জুটল তার। ইউএনও মো. ইকবাল হোসেনকে বাড়িতে পেয়েই কাঁদলেন তারাপদ দাস।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মহান্দি গ্রামে তারাপদ দাসের বাড়িতে হাজির হন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সঙ্গে নিয়ে যান উপজেলা পরিষদের সরকারি পুকুরের মাছ, পরিষদ চত্বরে তারাপদ দাসের হাতে লাগানো নারকেল গাছের ফল ও শীতবস্ত্র কম্বল। খোঁজখবর নেন তার শারীরিক অবস্থার।

তারাপদ দাসের ছেলে সাগর দাস জানান, ইউএনও স্যার বাড়িতে এসে বাবার খোঁজখবর নিয়েছেন। সরকারি মাছ, শীতবস্ত্র, নারকেল ও নগদ টাকা সহায়তা করেছেন। ঘোষণা করে গেছেন এখন থেকে বাবাকে প্রতিমাসে সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। বাবা ৩০ বছর ইউএনও অফিসের মালী পদে চাকরি করেছেন। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর কখনো কেউ খোঁজ নেননি। দুর্ঘটনার পর ২০১২ সালে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। বয়সও ৮০ বছর পার হয়েছে বাবার। এখন বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।

নিজের হাতে লাগানো নারকেল গাছের ফল পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারাপদ দাস। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, কেউ খোঁজ নেয় না। স্যার আমার বাড়িতে এসেছেন আমি খুব খুশি হয়েছি।

তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন জানান, শনিবার সকালে খুব ভোরে তারাপদ দাস আমার সরকারি বাসায় গিয়েছিলেন একটি কম্বলের জন্য। তখন আমি জানতাম না যে এই তারাপদ বাবুই ছিলেন উপজেলা পরিষদের মালী। তিনি ৩০ বছর সেখানে চাকরি করেছেন। নিজে হাতে উপজেলা পরিষদের শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ লাগিয়েছেন। পুকুরে মাছ ছেড়েছেন। তবে সেটি তিনি কখনো ভোগ করতে পারেননি। ঘটনাটি জানার পরই সহমর্মিতা নিয়ে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, কিছু ফল, মাছ ও নগদ কিছু টাকা উপহার দিয়েছি। এছাড়া রেজুলেশন করে এখন থেকে উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতিমাসে তার জন্য নগদ কিছু সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। যেটি তিনি যতদিন জীবিত থাকবেন বাড়িতে বসে পাবেন। আমাদের সারা দেশের উপজেলা পরিষদে এমন অনেক মানবিক ও স্পর্শকাতর গল্প রয়েছে। যিনি করেন বা গড়েন তিনি ভোগ করতে পারেন না। তবে সেটি তার প্রাপ্য। আমি চাই সকল কর্মকর্তারা মানবিক হয়ে এসব মানুষদের খোঁজ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবেন।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102