ads
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম

ফুটবল ঈশ্বরের মৃত্যুতে ১০ নম্বর জার্সিই তুলে দেওয়ার দাবি

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৭ বার পঠিত

দিয়েগো আর্মান্ডো ম্যারাডোনা। ফুটবলেরই আরেক নাম। অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞ, সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবেই গণ্য করেন।

নিজের পেশাদার ক্যারিয়ারে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন এ মহাতারকা। তার জার্সির নাম্বার ছিল ১০।

ম্যারাডোনার মৃত্যুতে যখন আর্জেন্টিনায় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে তখন এই মহান খেলোয়াড়ের সম্মানে ফিফার প্রতি ১০ নম্বর জার্সি অবসরে পাঠানোর (স্থায়ীভাবে তুলে রাখা) আহ্বান জানিয়েছেন লিগ ওয়ানের দল অলিম্পিক মার্শেইয়ের কোচ আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াস।

এই ‘১০ নম্বর জার্সি’র জন্য ম্যারাডোনাকে ডাকা হয় ‘এল দিয়েস’ নামেও। ম্যারাডোনার প্রতি সম্মানে ২০০০ সালের পর থেকে ১০ নম্বর জার্সি ব্যবহার করেনি তার সাবেক ক্লাব নাপোলি, মাঝারি মানের দল নিয়েও যে ক্লাবকে তিনি দুবার এনে দিয়েছিলেন সেরি আ শিরোপা।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পোর্তোর বিপক্ষে বুধবার ২-০ গোলে হারের পর পর্তুগিজ কোচ বোয়াস বললেন, ফিফারও উচিত হবে ১০ নম্বর জার্সি স্থায়ীভাবে তুলে রাখা।

‘ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর মেনে নেওয়া খুব কঠিন। আমি ফিফাকে অনুরোধ করব ১০ নম্বর জার্সি সব প্রতিযোগিতা থেকে তুলে রাখতে। এটাই হতে পারে তার প্রতি সম্মান জানানোর সবচেয়ে ভালো উপায়। তার মৃত্যু বিশ্ব ফুটবলের জন্য এক অপূরণীয় শূন্যতা।’

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের দলের ১০ জার্সি তুলে রাখার অনুমতি চেয়েছিল ফিফার কাছে; তবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

বুয়েনস আইরেসে বড় হয়ে ওঠা ম্যারাডোনা মাত্র ১৬ বছর বয়সে সুযোগ পান আর্জেন্তিনার জুনিয়র দলে। টানা ৫ বছরে খেলেন ১৬৭ ম্যাচ, গোল করেন ১১৬।

১৭ বছর বয়সেই আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে। বোকা জুনিয়র্সে মাত্র ১ বছর খেলেন। তারপরেই বার্সেলোনা। ৪০ ম্যাচে ২৮ গোল! হঠাৎই বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দেন নাপোলিতে। নাপোলির হয়ে খেলেন ১৮৮ ম্যাচ। গোল করেন ৮১। দেশের হয়ে ৪টি বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। ১৯৮২ তে প্রথম। ততদিনে বিশ্ব ফুটবলে নিজের ছাপ রাখতে শুরু করেছেন। প্রথম বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার পেরিয়ে মাত্র ২ গোল।

তারপরই ইতিহাস। ১৯৮৬। মহাতারকার জন্ম। আপাত সাধারণ আর্জেন্টিনা দল নিয়ে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ তোলেন অধিনায়ক ম্যারাডোনা। ১৯৯০য়ে মধুর প্রতিশোধ নেয় জার্মানি। দলকে ফাইনালে তুলেও ম্যারাডোনার হাতে উঠল না বিশ্বকাপ। ১৯৯৪’তে খেলেন শেষ বিশ্বকাপ। তবে তা ছিল নেহাতই কলঙ্কময়। মাদক পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে মাত্র ২ ম্যাচ খেলেই ফিরে যেতে হয় দেশে। দেশের হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন ম্যারাডোনা।

ক্লাব ফুটবলে করেছেন ২৫৯ গোল। ম্যাচ খেলেছেন ৪৯১। ওই একই বছরে কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ফুটবলার হিসেবে যে উচ্চতায় বিরাজ করেছেন, তার ধারেকাছেও ছিল না তার কোচিং জীবন। মেক্সিকো বিশ্বকাপে একটা সাধারণ আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে যেভাবে পশ্চিম জার্মানি, বেলজিয়াম আর ইংল্যান্ডকে টপকে গিয়েছিলেন ২৫ বছরের যুবক, তা বিস্ময়েরই। কারণ, বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে এমনটা আর দেখা যায়নি।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৪৭
  • ১২:০০
  • ১৬:৩৫
  • ১৮:৪৬
  • ২০:১১
  • ৫:১০
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102