মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিশু নির্যাতন, মাদক, সন্ত্রাস, ভ‚মিদস্যু দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং স্বররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন অপরাধি যতই ক্ষমতাধর হোক কেন কাউকে ক্ষামা করা হবে না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাসায় বোমা হামলার প্রধান আসামী টুন্ডা মোমিনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ কাল হয় সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীনের জন্য।
যুবদল ক্যাডার বর্তমান তাতিলীগের পরিচয়ে কড়াইল বস্তি এলাকার অবৈধ গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের সংযোগের নিয়ন্ত্রক। কোটি টাকার মিশনে প্রকাশ্য সহযোগী বর্তমান বিমানবন্দর থানার ওসি বিএম ফরমান আলী। তার শেল্টারে হোটেল বয় মুমিনের কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। মোমিনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন এ ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ‘টোকাই যখন কোটিপতি’ শীরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সময়ের আলোতে ৩১ আগস্ট ‘বিষফোঁড় কড়াইল বস্তি মাসে ১০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি’ শীরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় টুন্ডা মনিরের বিরুদ্ধে। কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে টুন্ডা মমিন কোটিপতি শীরো নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে অপরাধ বিচিত্রায়। একারনে সাংবাদিক হাববি সরকার স্বাধীনকে হত্যার চেষ্টা করে মোমিন যার কারণে বনাণী থানায় জিডি নং ৭৮৩ তারিখ ১২-৯-১৯। উন্মোচিত হয় নব্য তাঁতী লীগের নেতার মুখোশ। সংবাদের জের ধরে মুমিনে স্বাধীন সরকাররকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন।
এব্যপারে মুমিনকে সহায়ুদা করেন তৎকালীন বনানী থানার ওসি ফরমান আলী, এএস আই সুজন কুমার সাহা,এ এস আই ইমরান। ওসি ও এসআইদের অপকর্মের নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে নাম সর্বস্ব ও অখ্যাত একটি অনলাইনে সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়। তারা উল্লেখ করেন স্বাধীন মাদক ব্যবসায়ী কিন্তু বিষয়টি স্পষ্ট যে তাকে ফাসানো হয়েছে। স্বাধীন কড়াইল এলাকায় রিপোর্ট করে চাদাবাজী করেছে বললেও তার স্বপক্ষে কোন তথ্য তারা দিতে পারেননি।
ওসির পক্ষে নিউজ পরে বিপক্ষে এ বক্তব্যটির হাস্যকর কারন যখন ভালো কাজ করবে তখন ভালো প্রকাশ হবে যখন খারাপ তখন তাই প্রকাশ পাবে। তারা কড়াইল বস্তির হত্যা, অস্ত্র, একাধিক মামলার আসামি মাদক সম্রাট টুন্ডা মোমিন সস্পর্কে অনুসন্ধান না করে ওসির দালালীতে লিপ্ত, কারন গত ২৩/৯/১৯ইং, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান (মফিজ) মোমিনের বিষয়ে কথা বলতে মুঠো ফোনে ১২টায় তার অফিসে আসতে বললে স্বাধীন ১০:৩০ মি: থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসার এসআই ইভাকে বিস্তারিত জানান। ওসি কে জানাতে বললে তখন ওসি না থাকায় তৎকালীন ওসি তদন্ত বোরহান উদ্দিন রানাকে বিস্তারিত খুলে বলেন।
কমিশনার মফিজুর রহমান মফিজ হাবিবকে তার কার্যালয়ে মিটিং এর জন্য যেতে বলছে। থানায় বিস্তারিত জানানোর উদ্দেশ্য নব্য তাঁতী লীগের নেতা গত ৩১/ ৮/১৯/ইং আওয়ামীলীগ শোক সভায় সাংবাদিক স্বাধীন এর উপর হামলা চালায় মোমিন, খাইরুল, রায়হান, রুস্তম, নাম না জানা আরো ১৫-১৮ জন যুবক। হামলার সময় অনুষ্ঠানের ডিউটিরত কড়াইল বস্তি বিট ইনচার্জ এস আই আবু তাহের ভ‚ইঁয়া। এএস আই সোহেল রানা তাদের সামনে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে ফিল্মস্টাইলে হামলা চালায়। হামলাকারী এর একজন ধরা পড়লেও তাকে গ্রেফতার না করে ছেড়ে দেন আবু তাহের।
এস আই আবু তাহের ভুঁইয়ার সাথে টুন্ডা মুমিনের রয়েছে চরম সখ্যতা। আবু তাহের এর নামে মাদক কারবারীদের সহযোগিতা করার গুরতর অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন বনানী থানায় থাকার কারনে কড়াইল বস্তির অপরাধ সিন্ডিকেটের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে জানা যায় এলাকায় আতঙ্কের আরেক নাম এসআই আবু তাহের ভুঁইয়া। সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্য বানানোর কাজ হাতের ইশারায় অজস্র প্রমাণ রয়েছেন অপরাধ বিচিত্রা দপ্তরে। মামলার ভয় দেখিয়ে অন্যের বাড়ী দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিনা নোটিশে ভাড়াটিয়াদের বাহির করে দিয়ে তালা লাগিয়ে পরবর্তীতে সেই বাড়িটি নিজের বলে দাবি করা সহ ইত্যাদি।
মোমিন সহ ওসি ফরমান সিন্ডিকেট স্বাধীন সরকার কে হেনস্তা ভয় ভীতিসহ মিথ্যাচার লিপ্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত্র পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন দায়িত্বশীল সাংবাদিক সংগঠন গুলো। সাংবাদিক স্বাধীন সরকার হাবিব বলেন, আমি কখনো কোনদিন সিগারেট খাই নি অথচ বিপক্ষে রিপোর্ট করার অপরাধে আমি মিথ্যা মামলার শিকার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাক্ষীর বয়স কল রেকর্ডিং মামলার এজাহারে সাথে কোন মিল নেই কেন? আমার আত্মবিশ্বাস আমি আদালতে ন্যায় বিচার পাবার। আমাকে মাদক দিয়ে ফাসানো হয়েছে,আদালত থেকে অবশ্যই নির্দোষ প্রমাণিত হবো। সত্য লিখি তাই মিথ্যা মামলা হজম করেছি। সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।
সূত্র : অপরাধ বিচিত্রা