নওগাঁ বদলগাছী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কোলাহাট সরকারি প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে গণহত্যা দিবস পালিত করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ ও স্থানীয় শহীদ পরিবারের উদ্যাগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শহীদদের স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন, একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাড ডি এম আব্দুল বারী, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান রহমান, সহ-সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র সরকার, বিষ্ণু দেবনাথ, নাফিস আরা পপি, শহিদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম এম রাসেল। বক্তারা শহীদদের স্মরণে সেখানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ওই এলাকার রাজাকার আব্দুল হাকিম ওরফে হ্যাকাম এর সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী ৮ ও ৯ নভেম্বর দু’দিন ব্যাপী ওই এলাকায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায়। একাত্তরের ৯ নভেম্বর হানাদার বাহিনী এলাকার ৬ নারীসহ ১০ জনকে ধরে নিয়ে এসে স্কুল মাঠে সমবেত করে।
এসময় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। সেই যুদ্ধে রানীনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ফরমান আলী ইছহাক আলী ও মকছেদ আলী শহীদ হন। ওইদিনই বর্বর পাক বাহিনী নারী-পুরুষসহ ১০ জনকে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পাক-বাহিনী চলে গেলে স্কুলের পাশেই তাদের দাফন করা হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও এখানে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতিফলক। তাই এই প্রজন্মের দাবি একাত্তরে পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে প্রাণ দেওয়া এই বীর যোদ্ধাদের স্মৃতি স্মরণে যেন স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়।