পাবনার আতাইকুলা থানার ছাদ থেকে এসআই হাসান আলীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশের দাবি ওই এসআই আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের দাবি তার মৃত্যুর জন্য থানার ওসি দায়ী।
অন্যদিকে রোববার সকালে ভ্যান চালানোর সময় ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পান এসআই হাসানের বাবা আব্দুল জব্বার।
নিহত এসআই হাসান আলীর বাড়ি কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। তার বাবা আব্দুল জব্বার পেশায় রিকশাভ্যানচালক। কষ্ট করে ছেলেকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করিয়েছেন। প্রায় দুই বছর আগে হাসান আলী পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ পান। তবে তার পিতা এখনও রিকশাভ্যান চালান।
এসআই হাসান আলীর বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, রোববার সকালেও তিনি ভ্যান চালতে গিয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছিলেন।
এ ঘটনার বিষয়ে পাবনার আতাইকুলা থানায় এসআই হাসান আলীর আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকালে হাসান আলীর পিতা আব্দুল জব্বার, মা মোছা. আলেয়া বেগমসহ তাদের নিকট আত্মীয় ৮ জনকে পাবনা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ৮ জনকে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, পুলিশ সুপারে নির্দেশে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত দল ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন। কয়েকটি সম্ভাব্য তথ্য যাচাই করা হবে। হাসান আলী বিসিএস পরীক্ষার জন্য ছুটি নিয়েছিলে এ তথ্য ভুল। তবে তার ছুটি মঞ্জুর করা হলেও তিনি ছুটিতে যাননি।