যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। সম্রাটের আরও অবৈধ অর্থের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে সংস্থাটি। এদিকে বারবার অসুস্থতার কথা বলে সম্রাট বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছেন বলে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষের। তবে আসামির আইনজীবীর দাবি, জীবনমৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সম্রাট।
রাজনীতির মাঠে আলোচিত-সমালোচিত। ক্যাসিনোকাণ্ডে উন্মোচিত হয় মুখোশ। বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। বিশাল সাম্রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হানা। আইনের হাতে বন্দি সম্রাট।
মাথার উপর বেশ কয়েকটি মামলা। অস্ত্র, মাদক, মানি লন্ডারিংয়ের বহু অভিযোগ। গ্রেফতারের পর বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন হাসপাতালে। এখনো আছেন চিকিৎসাধীন।
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, বারবার অসুস্থতার কথা বলে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছেন সম্রাট। যদিও আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট গুরুতর অসুস্থ।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু বলেন, যেহেতু আদালতে যাচ্ছে না, ফলে বিচারও হচ্ছে না। সে ব্যাপারে আদালতে যদি কোনো মেডিকেল রিপোর্ট পাঠায়, তাহলে আদালত সেটা বিবেচনা করবে।
এদিকে একের পর এক সম্রাটের অবৈধ অর্থের খোঁজ মিলছে। এ মাসের ১৩ তারিখ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্রাটের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। প্রাথমিকভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার দাবি সিআইডির।
সিআইডির এডিশনাল আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা যখন তদন্ত করি, তখন আমরা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছি। আরও কিছু আসলে আমরা বুঝতে পারব।
অস্ত্র ও মাদক মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।